মনে আছে একবার স্কুলের বইয়ে পাওয়া গেল বোরখা বিদ্বেষ কিছু গল্প, যেটার প্রতিবাদ করেছিল শায়েখ আহমাদুল্লাহ ।
একটু খেয়াল করে দেখুন যারাই মানুষের মধ্য ইসলামকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরছে কোন না কোন ভাবে তারাই বিতর্কিত হচ্ছে ।
________________________________________
মনে আছে? মিজানুর রহমান আজহারীর কথা তিনি বাংলার প্রায় সমস্ত যুবক ছেলেমেয়েদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছিলেন কিন্তু তার দেশ ছাড়াটাও আজ বিতর্কিত, শোনা যায় তাকে হুমকি দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে ।________________________________________
একইভাবে বাংলার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল আল্লামা মামুনুল হক সেও আজ চরমভাবে বিতর্কিত আল্লামা মামুনের হককে পুলিশে ধরার পর আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি তার স্ত্রীকেও থানায় রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন তারপরেই তার বিরুদ্ধে মামলা শক্ত হয়েছে ।আল্লামা মামুনুল হক আজ বিতর্কিত এবং অনেকের কাছে ঘৃণা যোগ্য
________________________________________
আজ আমাদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী নেই তাকেও চিকিৎসার অবহেলায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে অপরদিকে যুদ্ধ অপরাধি নামে একটি লেবেল লাগানো হয়েছে যেটি এদেশের হাজারো মানুষের কাছে বিতর্কিত ।
________________________________________
আইনুদ্দিন আল আজাদ এর মৃত্যু হয়েছে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে , অপরদিকে কলরবের পরবর্তী দায়িত্বে থাকা বদরুজ্জামান ২০১৮ সালে কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছে এবং এরপরও কয়েকবার হয়েছে অপরাধ বিদ্রোফি গজল গাওয়া যার পর আমরা কলরবের অবস্থা দেখতে পেয়েছি যেটির পরিবেশ কোন সংগীত সংস্থার মত হয়ে গিয়েছে ।
________________________________________
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, আপনারা কি এসব কিছুর মধ্যে কোনোভাবেই সংযোগ খুঁজে পাচ্ছেন না আমি খুঁজে দিচ্ছি কিছুটা সংযোগ ।
________________________________________
নিঝুম মজুমদারের কথা তো সবাই জানে মজুমদারের মাথা ব্যথা আসসুন্না ফান্ডেশন অপরদিকে বিতর্কিত বিদ্যানন্দ কান্ডেশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
নিঝুম মজুমদারের তাহেরির প্রশংসা করা এবং তাহেরির মন্তব্যে একাধারে সবাইকে জামাত আখ্যা দেওয়া কোন একটা গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করে না,
আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশের একটি অপশক্তি ভার্সিটিতে কেউ নামাজ পড়লে নামাজের দাওয়াত দিলে তাদেরকে জামাত শিবির আখ্যা দিয়ে মারধর করে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে জামায়াত বলে সারা রাত পিটিয়ে মেরে ফেলে ।
তাহেরির মুখে এমন কথা এটাই প্রমাণ করে তার ঘাড়ে ভর করেছে বাংলাদেশের কোন একটা অপশক্তি এবং তাহিরির হঠাৎ করে এত ভক্ত বেড়ে যাওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কথাগুলো এত বেশি এভাবে প্রচার করা যেখানে তার মাহফিলে কয়েকজন মানুষ হয় না সেখানে তার অর্থ কোথা থেকে আসে সবকিছুই প্রশ্নবিদ্ধ ।
________________________________________
প্রথম লাইনেই বলেছিলাম বাংলাদেশ ইসলামিক বিরুদ্ধে হওয়া বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং তিনি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য তার প্রতিবাদগুলো বাংলাদেশের মানুষদের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং যেটি বাংলাদেশের অপশক্তিদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ।
দেখুন আপনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে আপনি আশপাশে গ্রামের বিষয়বস্তু ভালো-মন্দ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক থাকেন কিন্তু যদি আপনার পারিবারিক আর্থিক সংকট থাকে কিংবা আপনার শরীল খারাপ থাকে তাহলে আপনি সর্বপ্রথম আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন এক্ষেত্রে গ্রামে কি হলো সেদিকে আপনার নজর একেবারেই থাকবে না আপনার চিন্তা থাকবে শুধুমাত্র কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় এবং নিজের একটি সুন্দর জীবন সন্তানদের পরবর্তী জীবনটা সুন্দর করা যায় সে বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। এখানেও ঠিক একই ফর্মুলা কাজে লাগানো হচ্ছে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্য আলেমদেরকে বিতর্কিত করতে পারলেই তারা আর দেশ নিয়ে সমাজ নিয়ে কোন কথা বলবে না ইসলামের খাতিরে যদি বলে ফেলে তাহলে যেহেতু তারা বিতর্কিত সুতরাং তাদের কথা নিয়ে বাংলাদেশে মানুষদের মত মতবিভেদ দেখা দেবে ।________________________________________
শায়খ আহমদুল্লাহ কে ব্যস্ত রাখতে চাচ্ছে হিরো আলম সমতুল্য তাহেরীকে দিয়ে তাহেরী যেমন বলেছিলেন যারা জামাত-শিবির পছন্দ করে তারা সবাই শায়খ আহমাদ উল্লাহর বক্ত ।
ঠিক আমিও বলছি বাংলাদেশে আমি খেয়াল করে দেখেছি যারা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে তারা কিভাবে যেন তাহেরিকে সাপোর্ট করছে রহস্যটা মনে মনে ক্লিয়ার হল তথ্যপ্রমাণের অভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন