বর্তমানে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় দেখছি সবার মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছে সরকারের বিরুদ্ধে।
এটি একেবারে স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কমেন্ট বক্সে।
সরকার শুধু ব্যবসায়ীদের কথা শুনে, আমাদের কথা ভাবে না—ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক অভিযোগ সাধারণ জনগণের।
কেন ভাই? আপনারা তো ধর্মকে বিশ্বাস করেন না, বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানকে। আর বিজ্ঞান বলে, যার কাছে ক্ষমতা আছে, তার সঙ্গেই থাকলে সুখী থাকা যাবে। না হলে সুখ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তারা জানে কীভাবে অন্যায় করে বেঁচে থাকতে হয়, তারা জানে কীভাবে প্রতিবাদকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে হয়।
তারা জানে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো এই দুনিয়াতে আর কোনো শক্তি নেই।
আমরা দেখেছি আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে।
একজন সাধারণ মানুষ অন্যায় করতে গেলে মনে মনে ভাবে, এরপর পুলিশে ধরে আদালতে দেবে, আর সেখানে বিচার হবে। খেয়াল করুন, এখানে লোকটি কিছু করার আগেই ভয় পাচ্ছে, কারণ তাকে ধরার মতো শক্তি আছে। তাই সে আর কোনো ঝামেলায় গেল না।
কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনো শক্তি এই সমাজে নেই, যারা নিজেরাই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারা কেন অন্যায় থেকে বিরত থাকবে? তারা তো যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে।
কারণ, তাদের ধরার কোনো ক্ষমতা এই দুনিয়ায় বা সমাজে নেই।
দুনিয়ার আইন-কানুন সবই তাদের কেনা, আর নাহয় তারাই এগুলির রক্ষার দায়িত্বে।
এবার রক্ষক যদি হয় ভক্ষক, তাহলে তাকে আটকায় কে?
---
সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের গুরুত্ব
আমাদের সমাজ এখন এমন এক অবস্থায় চলছে, যেখানে একদল লোক ধর্মকে সমাজ থেকে তুলে দিয়েছে। আর এর পরিণতি আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পারছি।
মা মেয়েকে হত্যা করছে, পরকীয়ার কথা ফাঁস হওয়ার ভয়ে। নেতারা জনগণকে নির্যাতন করছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। আর সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে।
এসব কিছু বন্ধ করতে হলে ধর্মকে ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় বইগুলো শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার জন্য রাখা হয়েছে। সেগুলোকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে হবে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি করার ওপর কাজ করতে হবে।
যখন একজন মানুষের মনে হবে যে, কেউ তার সব কাজ দেখছে এবং তার সমস্ত কাজের হিসাব দিতে হবে একদিন, তখন সেই মানুষ অন্যায় করতে সাহস করবে না।
সেদিন তার এই ক্ষমতা, টাকা বা পৃথিবীর কোনো কিছুই কাজে আসবে না।
তখন সেই মানুষের দ্বারা অন্যায় কখনোই সম্ভব হবে না।
এটাকেই বলে ধর্ম। পৃথিবীর কোনো ধর্ম মানুষকে চুরি করতে বলে না, অন্যের হক নষ্ট করতে বলে না।
আর এজন্যই পৃথিবী সঠিকভাবে চালাতে ধর্মের বিকল্প নেই।
আইনের ফাঁক-ফোকর থেকে মানুষ অনেকভাবেই বাঁচতে পারে,
কিন্তু বিবেকের কাছ থেকে কীভাবে বাঁচবে?
আল্লাহর কাছ থেকে কীভাবে বাঁচবে?
আমাদের মানুষের বিবেক জাগ্রত করার জন্য কাজ করতে হবে।
সুস্থ, শান্তিপূর্ণ, এবং সুশৃঙ্খল সমাজ গড়তে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।
অন্যথায়, অন্যায়, জুলুম, এবং নির্যাতন বন্ধের আর কোনো উপায় নেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন