সরকারের জনগণের উদ্দেশ্য নেওয়া সিদ্ধান্তর বিরোধিতা বিএনপি করলেও জনগণের উপর চাপ হয়ে যাবে কর বৃদ্ধি করায়, তারা এটা জেনেও এটার বিরোধিতা করেনি।
সরকারের জনগণের উদ্দেশ্যে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বিএনপি করলেও, জনগণের উপর চাপ হয়ে যাবে কর বৃদ্ধি করার ফলে। তারা এটা জেনেও এটার বিরোধিতা করেনি।
বিএনপি যেসব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বর্তমান সরকারের, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—অপরাধী পুলিশদের বদল করার সিদ্ধান্ত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু বিএনপি এই বলে তাদের আটকে দেয় যে এগুলো নির্বাচিত সরকারের কাজ, তাদের নয়। কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ স্বাধীনতার পর যতগুলো সরকার এসেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভরসা করতে পারি এই বর্তমান সরকারের উপর। এটা কি বিএনপি জানে?
বিএনপি অপরাধী পুলিশদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়। বিএনপি রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে সরতে দেয়নি, দেয়নি সংবিধান সঠিকভাবে পুনর্লিখন করতে। এখন যখন ছাত্ররা এবং শহীদদের পরিবার ২৪-এর শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ স্মরণে একটি ঘোষণাপত্র চাইছে, সেটিতেও বিএনপির বাধা।
বর্তমান সরকার গঠনের পর বিএনপি কখনো সহযোগিতামূলক আচরণ করেনি।
বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। যেহেতু আওয়ামী লীগকে আমরা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছি, এখন বিএনপির উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা। কিন্তু হঠাৎ করেই এত কর বৃদ্ধি করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলো, যা সরকারের প্রতি দিনমজুরদের মনে ঘৃণা তৈরি করবে।
এদিকে ধানের বাজার অনেক চড়া। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, কিছুদিন পর চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
বিএনপি অতীতে সরকার চালিয়েছে, তাই তাদের এসব জানা থাকার কথা। কিন্তু তারা এসব নিয়ে কথা বলছে না বা সরকারকে কোনো পরামর্শ দিচ্ছে না। কারণ, তারা চায় বর্তমান সরকার পচে দুর্গন্ধ ছড়াক মানুষের মনে, যাতে তারা ক্ষমতায় যেতে পারে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি চুপ। কারণ, তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না।
সবশেষে বলতে চাই, বিএনপি ইচ্ছাকৃতভাবে বর্তমান সরকারকে পচাচ্ছে। তাদের দলীয় ক্যাডাররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং সেটি সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। অপরদিকে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মতো বিষয়গুলোতে ভারত যুক্ত থাকায় বিএনপি এ নিয়ে কিছু বলছে না।
অতীতে বিএনপি সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, তারা জানত শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে। তবুও তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। বিএনপির সিনিয়র নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব হতে দিয়েছেন এবং তাদের দায়িত্বশীল আচরণের অভাবে দেশের এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন