সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নিজের স্বার্থের আগে দেশের স্বার্থ দেখতে হবে, না এটা দেশ প্রেম নয়, এটাই একমাত্র মাধ্যম ভালো থাকার ।

আফ্রিকা মহাদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হীরার খনি থাকা সত্ত্বেও, আমরা দারিদ্র্যের উদাহরণ হিসেবে তাদেরকেই তুলে ধরি। কিন্তু কেন আজ তাদের এই অবস্থা?
আমেরিকানরা যখন দাস হিসেবে আফ্রিকার মানুষদের ধরে নিয়ে যাওয়া শুরু করল, তখন সেখানকার কিছু ক্ষমতাসীন ব্যক্তি আমেরিকানদের সাথে চুক্তি করে। তারা নিজেরাই নিজেদের কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের ধরে আমেরিকানদের কাছে বিক্রি করে দিত,

বিনিময়ে নিত অস্ত্র আর কিছু টাকা-পয়সা। একসময় দেখা গেল, এই ক্ষমতাধররা একে অপরের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল, যার ফলস্বরূপ মিশর ছাড়া প্রায় পুরো আফ্রিকা মহাদেশ গৃহযুদ্ধে পতিত হয়। আর যে লোকেরা নিজেদের ক্ষমতার দাপটে নিজ জাতির মানুষদের ধরে আমেরিকানদের কাছে বিক্রি করত, তাদের বংশধরদের আজকের অবস্থা আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন।


নেতার পেছনে ঘুরে কিছু টাকা আয় করছেন দেখে ভাববেন না যে, আপনি সব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, তারা সঞ্চয় হিসেবে নিজেদের ছেলেমেয়েদের জন্য কত টাকা রাখতে পারি? ১০ লক্ষ? ৩০ লক্ষ? দুই কোটি, নাকি চার কোটি? ধরে নিলাম ৫ কোটি টাকা, যেহেতু আমরা আমাদের দলকে অন্ধভাবে সমর্থন করি। ধরা যাক, কেউ পিটিয়ে মানুষ মেরে ফেলল, তাতেও কোনো সমস্যা নেই; নেতা ব্যাখ্যা দেওয়ার আগেই আমরা নিজেদের ব্যাখ্যা তৈরি করে ফেলি এবং সেটা জোর গলায় দলের পক্ষে প্রচার করতে থাকি। যেমন কোনো দলের কর্মী বা সমর্থকই বলে না যে, তাদের নেতা খারাপ কাজ করেছে। ঠিক সেভাবেই আমরাও কখনো বলি না, এবং হয়তো কখনো বলবও না। এমন অন্ধ সমর্থনের সুবাদে, শূন্য পকেট থেকে উঠে এসে পরিবারের খরচ বাদ দিয়ে ছোটখাটো অন্যায় করে ৫ কোটি টাকা সঞ্চয়ই তো করাই যায় ।
কিন্তু এই টাকা অতি সামান্য কেন বলছি?

কারণ, আপনি যেমন দলকে অন্ধ সমর্থন করে তার ছায়ায় অনৈতিকভাবে কিছু টাকা কামাচ্ছেন, ঠিক একইভাবে মাছ বা মুরগির খাবার প্রস্তুতকারকও অতি লোভে খাবারের মধ্যে গরুর পচা চামড়া মেশাচ্ছে। পুরোনো খবরের কাগজ ঘাঁটলে এমন অনেক প্রতিবেদন পাবেন। বলা হয়, খাবারে গরুর চামড়া বা পচা নাড়িভুঁড়ি মেশালে নাকি মাছ দ্রুত বড় হয়। আর সেই মাছ আপনি আপনার দুর্নীতির টাকায় কিনে নিজের সন্তানকে খাওয়াচ্ছেন। সেটা খেয়ে আপনার সন্তান হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট বা কিডনি বিকল হওয়ার মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আপনার উপার্জন করা এই সামান্য সঞ্চয় দিয়ে কি পারবেন ছেলেকে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে?


আপনি যদি তাদের অন্ধভাবে সমর্থন না দিতেন, তাহলে হয়তো তারা এতটা শক্তিশালী হতে পারত না এবং তাদের ছত্রছায়ায় ঐ অসাধু ব্যবসায়ীরাও এভাবে ব্যবসা করার সাহস পেত না।

ফলস্বরূপ, আমাদের সন্তানেরা হয়তো সুস্থ থাকত। আর যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমরা যদি তাদেরকে চাপ দিয়ে চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করতে পারতাম, তাহলে হয়তো ছোটখাটো রোগের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পেতাম।
যেসব নেতা বা আইকনদের আমরা অন্ধভাবে সমর্থন দিচ্ছি, তাদের কিন্তু কিছুই হয় না। হাসিনাকেই দেখুন,অসংখ্য মানুষের জীবন শেষ করে দিয়ে বিদেশে আরামে দিন কাটাচ্ছে। তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশি নাগরিকত্ব পেয়েছে, পরিবারও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। আপনি যাদের সমর্থন দিচ্ছেন, তাদেরও কিছুই হবে না, কারণ তাদের আয়ের পরিমাণ আমাদের কল্পনারও বাইরে। একেকজনের দুর্নীতির পরিমাণ হয়তো দেশের মোট রিজার্ভের চেয়েও বেশি।
এখানে আমি মাত্র একটি উদাহরণ দিলাম। এমন হাজারো উদাহরণ আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে, শুধু একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই তা দেখতে ও বুঝতে পারবেন।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আবু সাইদের হত্যা মামলায় নাবালক ইস্কুল ছাত্র আসামি

  আবুসাইদকে কে মেরেছে আমরা ভিডিও দেখেছি । আর কার হুকুমে মারা হয়েছে সেটাও আমরা জানি । প্রশ্ন সেটা নয়, প্রশ্ন হলো 5 বছর পর ইতিহাসে কি লেখা থাকবে ? এই খবরের শিরোনামটি দেখুন এখনই তারা দিনকে রাত বানিয়ে দিয়েছে । ________________________________________   নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় কি হয়েছিল, তখনো এই ভাবেই মারা হয়েছিল, কারো কারো চোখ তুলে নিয়েছিল, করো হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল, করো জীবন নিয়ে নিয়েছিল, ।(হেলমেট বাহিনী) তদন্ত কি হয়েছিল তাদের উপর ?। বিচার কি হয়েছে সেই গুন্ডাদের ।

আসলে কি কি ছিলো ছাত্রদের নয় দফা দাবিতে

২.প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে । ২. আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মন্ত্রীপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ৩. ঢাকাসহ যত জায়গায় শহিদ হয়েছে সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরদের পদত্যাগ করতে হবে। ৫. যে পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ যে সকল সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা পরিচালনা করেছে এবং পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে আটক করে এবং হত্যা মামলা দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার দেখাতে হবে। ৬. দেশব্যাপী যে সকল শিক্ষার্থী ও নাগরিক শহিদ ও আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে । ৭. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশ...

মুক্তিযুদ্ধাদের নাতিদের কেনো কোটা লাগবে ?

 মুক্তিযুদ্ধাদের নাতিদের কেনো কোটা লাগবে ? এমনতো না যে তারা পড়তে বসতে পারে না কারেন্ট বিল আসবে বলে । এমনতো না তারা পড়ালেখার জন্য প্রায়জনী বই খাতা কিংবা টাকার অভাবে ভালো ইস্কুল কলেজে ভর্তি হতে পারে না। তাদের টাকার যোগান দিতে দাদার ভাতা আছে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য বাবার কোটায় চাকরি আছে ।  বাড়ির কারেন্ট বিল দিতে হয়না ।  জমির টেক্স দিতে হয় না । এত কিছুর পরেও যাদের কোটার ব্যবহার করতে হয় তাদের প্রতিবন্ধী ছাড়া আর কি বলা যায় । ________________________________________  দাবি না আওয়ামীলীগ বিরুদি নয় । দাবিটি মুক্তিযোদ্ধা বিরুদ্ধে নয়  দাবিটি অযোগ্যর বিরুদ্ধে  তবে কেনো হাসিনার গায়ে লাগলো লাগার কারণ রয়েছে কারণ সে নিজেই ব্যাপার নাম বেঁচে খাচ্ছে  তাছাড়াও যুগ্ম লোক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকলে সে গুণ্ডা পোশতে পারবে না পারবে না ভারতকে সব দিয়ে বিনিময় ক্ষমতায় থাকতে ।