সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যত বেশি শক্তি শক্তি প্রয়োগ করবেন তত জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন ।

 বিএনপি’র শক্তি প্রদর্শন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং বিদেশি স্বার্থের ফাঁদ


বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি যখন অতিরিক্ত শক্তি প্রদর্শন করে, তখন তারা নিজেদের অজান্তেই জনগণ থেকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইতিহাস প্রমাণ করেছে — যারা জনগণের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে, তারা বাস্তবে বিদেশি এজেন্ডা, বিশেষ করে RAW-এর মত সংস্থার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কারণ এই অঞ্চলে বহুদিন ধরেই জনগণের আন্দোলন দমন এবং দেশবিরোধী অপারেশনের জন্য এমন রাজনৈতিক শক্তিকেই ব্যবহার করে আসছে তারা।


---


ইশরাক হোসেন যদি সত্যিই জনপ্রতিনিধি হন...


ঢাকার মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন যদি সত্যিকার অর্থে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের সমর্থনে জনপ্রতিনিধি হয়ে থাকেন, তাহলে যতবারই নির্বাচন হোক না কেন, কারচুপিবিহীন সুষ্ঠু ভোটে তিনি জয়ী হবেন।

সমস্যা তখনই শুরু হয়, যখন নির্বাচনের ফল জনগণের রায়ের প্রতিফলন না হয়ে বরং প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে নির্ধারিত হয়। এতে করে জনগণের মাঝে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ে — তাদের মতামতের কোনো দাম নেই, আর শাসকগোষ্ঠী চাইলে যেকোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে।


---


পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত: সত্যিই কি ন্যায্য?


নির্বাচন বিতর্কিত হলে, সেই নির্বাচন পুনরায় আয়োজন করা উচিত জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, কিন্তু যখন সেটিকে “পছন্দের প্রার্থীকে জোর করে বসানোর হাতিয়ার” হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন সেটি ফ্যাসিবাদী প্রবণতার প্রকাশ।


ইশরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে আসন দখলের চেষ্টা এটাই প্রমাণ করে যে কিছু গোষ্ঠী চায় না জনগণের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হোক। এই বার্তা পাঠানো হচ্ছে — জনগণ যেন কখনো নিজেদের অধিকার নিয়ে লড়াই না করে, কারণ শক্তিধর রাজনৈতিক দলগুলো প্রয়োজনে দমন করবে, প্রয়োজনে RAW-এর মত শক্তিকে পাশে নেবে।


---


দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী এই সরকার বাধ্য অতি দ্রুত নির্বাচন দিতে, জোর করে থাকলেও আর একবছরের বেশি থাকতে পারবে না ।

বিএনপি'র সমর্থকদের জন্য আরেকটি খুশির খবর হল যেটা বর্তমান সরকারের জামাতের কোন লোক নেই একজন নেই তবে বিএনপি'র অনেকেই রয়েছে উপদেষ্টা মন্ডলীতে এমন অবস্থায় বিএনপি এমন শক্তি প্রয়োগ করে শুধুমাত্র নিজেদের চাঁদাবাজদের সাহস যোগ আছে এছাড়া আর কিছু না এটা যদি আমি বলি তাহলে কি ভুল হবে ।


যদি এই নির্বাচনকে আবারো বিতর্কিত ও রাজনৈতিক প্রভাবিত করা হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ প্রশ্ন তুলবে — “নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কি নিরপেক্ষ?”

এছাড়া বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে থাকা অনেক সদস্যের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রশ্নবিদ্ধ — যেমন আসিফ নজরুল বা মাহফুজদের মতো ব্যক্তিদের অনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠছে।


---


বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা এবং পক্ষপাত


বর্তমান সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরবতা ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণও জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে। এদের কর্মকাণ্ড অনেক সময়েই বিএনপি বা বিদেশি স্বার্থে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠছে, যার ফলে জনগণের আস্থা দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।


---


আওয়ামী লীগের পলায়ন ও ভারতের ভূমিকায় সন্দেহ


আওয়ামী লীগ যেভাবে অতীতে দলগতভাবে বাংলাদেশ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে, তা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার —

তাদের মনে ভারতের তৈরি করে দেওয়া “ভয়” এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছিল যে তারা জনরোষের মুখোমুখি হওয়ার আগেই পলায়ন করেছিল।

ভারত সবসময়ই তাদের বোঝাতে পেরেছে, “জনগণ তোমাদের হত্যা করবে, সময় মতো পালাও”, এবং এই বিশ্বাস থেকেই তারা অনেক বাংলাদেশবিরোধী কাজেও অংশ নিয়েছে।


আওয়ামীলিগ দেশে থাকলেও যে জনগণ তাদের উপর হামলা করার সাহস পেত না এটির বাস্তব উদাহরণ সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বর্তমান রাষ্ট্রপতি, ওনারা তো অনেক অনেক প্রভাবশালী তোমার বিতর্কের মুখে পড়ে এফবি থেকে বাদ পড়া মুরাদ হোসেন ওরফে টাকলা মুরাদ তার বাড়িতেও কোনরকম হামলা হয়নি এবং সে এখনো বাড়িতেই রয়েছে এগুলোই প্রমাণ করে যে পুরো আওয়ামী লীগও যদি বাংলাদেশে থাকতো এবং পুলিশ যদি না পালাতো থানা ছেড়ে তাহলে বাংলাদেশে কোন ধ্বংসযোগ্য হতো না শুধুমাত্র ক্ষমতার বদল হত ।

তারা পালিয়েছে এটার জন্য তাই ইন্ডিয়ান র এই রও তাদেরকে দিয়ে কাজ করানোর জন্য অতিরিক্ত ভাবে ভয় ঢুকিয়েছে যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের চাই না বাঁচতে হলে ইন্ডিয়ার সাথে থাকতে হবে যার বাস্তব প্রমাণ ইন্ডিয়ার বিজয়ী আমাদের বিজয়ী ওই মন্তব্যটা

এবং শেখ হাসিনার এই মন্তব্য ভারতীয়দের দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে । ।


---


বিএনপির শক্তি প্রয়োগ মানেই জনবিচ্ছিন্নতা


আজ যদি বিএনপি ইশরাকের মত প্রার্থীকে ব্যবহার করে ক্ষমতার জোরে, প্রশাসনের ছায়ায়, বা বিদেশি চক্রান্তের সহায়তায় জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে তারা কেবল একটি মেসেজই দিচ্ছে — “তোমাদের ভোট, তোমাদের মতামতের কোনো দাম নেই”।

আর এভাবেই, তারা যত শক্তি প্রয়োগ করবে, জনগণের থেকে ততই দূরে সরে যাবে। কারণ শক্তির মাধ্যমে কখনো স্থায়ী গণভিত্তি গড়া যায় না — তার জন্য দরকার জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, এবং সম্মান অর্জন।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আবু সাইদের হত্যা মামলায় নাবালক ইস্কুল ছাত্র আসামি

  আবুসাইদকে কে মেরেছে আমরা ভিডিও দেখেছি । আর কার হুকুমে মারা হয়েছে সেটাও আমরা জানি । প্রশ্ন সেটা নয়, প্রশ্ন হলো 5 বছর পর ইতিহাসে কি লেখা থাকবে ? এই খবরের শিরোনামটি দেখুন এখনই তারা দিনকে রাত বানিয়ে দিয়েছে । ________________________________________   নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় কি হয়েছিল, তখনো এই ভাবেই মারা হয়েছিল, কারো কারো চোখ তুলে নিয়েছিল, করো হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল, করো জীবন নিয়ে নিয়েছিল, ।(হেলমেট বাহিনী) তদন্ত কি হয়েছিল তাদের উপর ?। বিচার কি হয়েছে সেই গুন্ডাদের ।

আসলে কি কি ছিলো ছাত্রদের নয় দফা দাবিতে

২.প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে । ২. আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মন্ত্রীপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ৩. ঢাকাসহ যত জায়গায় শহিদ হয়েছে সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরদের পদত্যাগ করতে হবে। ৫. যে পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ যে সকল সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা পরিচালনা করেছে এবং পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে আটক করে এবং হত্যা মামলা দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার দেখাতে হবে। ৬. দেশব্যাপী যে সকল শিক্ষার্থী ও নাগরিক শহিদ ও আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে । ৭. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশ...

মুক্তিযুদ্ধাদের নাতিদের কেনো কোটা লাগবে ?

 মুক্তিযুদ্ধাদের নাতিদের কেনো কোটা লাগবে ? এমনতো না যে তারা পড়তে বসতে পারে না কারেন্ট বিল আসবে বলে । এমনতো না তারা পড়ালেখার জন্য প্রায়জনী বই খাতা কিংবা টাকার অভাবে ভালো ইস্কুল কলেজে ভর্তি হতে পারে না। তাদের টাকার যোগান দিতে দাদার ভাতা আছে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য বাবার কোটায় চাকরি আছে ।  বাড়ির কারেন্ট বিল দিতে হয়না ।  জমির টেক্স দিতে হয় না । এত কিছুর পরেও যাদের কোটার ব্যবহার করতে হয় তাদের প্রতিবন্ধী ছাড়া আর কি বলা যায় । ________________________________________  দাবি না আওয়ামীলীগ বিরুদি নয় । দাবিটি মুক্তিযোদ্ধা বিরুদ্ধে নয়  দাবিটি অযোগ্যর বিরুদ্ধে  তবে কেনো হাসিনার গায়ে লাগলো লাগার কারণ রয়েছে কারণ সে নিজেই ব্যাপার নাম বেঁচে খাচ্ছে  তাছাড়াও যুগ্ম লোক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকলে সে গুণ্ডা পোশতে পারবে না পারবে না ভারতকে সব দিয়ে বিনিময় ক্ষমতায় থাকতে ।